-->

বাংলা নববর্ষ রচনা. Helped school.

 বাংলা নববর্ষ রচনা


বাংলা নববর্ষ রচনা. Helped school.

আরও পড়ুন ঃ 

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা
 


এই প্রবন্ধ থেকে যা আমরা শিখতে পারবো ঃ

[ ১. ভূমিকা।। 

২. পহেলা বৈশাখ।।

৩. নববর্ষের আশ্বাস।।

৪. বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপনের বৈশিষ্ট্য।।

৫. নববর্ষ উদযাপনে গ্রামীণ জীবন ও নগরজীবন।।

৬. বৈশাখী মেলা।।

৭. নগরজীবনে নববর্ষ উদ্ যাপন।।

৮. জাতীয় কর্মসূচি ও নববর্ষ পালন।।

৯. বাংলা নববর্ষ ও উপজাতি সম্প্রদায়।।

১০. নববর্ষের গুরুত্ব ও তাৎপর্য।।

১১. উপসংহার।। ]


হে নূতন, এসাে তুমি সম্পূর্ণ গগন পূর্ণ করি/

পুঞ্জ-পুঞ্জ রূপে’ 

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


ভূমিকা : 

দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, মাসের পর মাস গড়িয়ে আসে পয়লা বৈশাখ । চৈত্র অবসানে বর্ষ হলাে শেষ । এল। নতুন বছর। নববষ। পৃথিবীর সর্বত্রই নববর্ষ একটি ট্র্যাডিশন’ বা প্রচলিত সংস্কৃতিধারা। আদিকাল থেকেই যে কোনাে বছরের প্রথম দিনটি নববর্ষ' নামে পরিচিত হয়ে আসছে। পুরাতন বছরের জীর্ণ ক্লান্ত রাত্রি’-র অন্তিম প্রহর হলাে ঘােষিত । দিকে। দিকে মানুষের বর্ষবরণের উৎসব-আয়ােজন।


পহেলা বৈশাখ :

পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশে এ পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয় । ইহা বাঙালির একটি সর্বজনীন লােকউৎসব । এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন। জীবনের প্রতীক হলাে নববর্ষ অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ । বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত আকবরের সময় থেকেই ।


নববর্ষের আশ্বাস :

নববর্ষের দিনটি প্রতিদিনের মতােই একটি সাধারণ দিন মাত্র । প্রতিদিনের মতাে এ দিনটিও যথানিয়মেই। উদয়-দিগন্তে ভেসে ওঠে । আলােক-প্লাবনে পৃথিবী উদ্ভাসিত হয়। পাখিরা গান গায় গাছে গাছে পাতার শিহরণ জাগে । কিন্তু তবু এ দিনটি অন্য দিনগুলাের চেয়ে স্বতন্ত্র, বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। প্রাত্যহিক তুচ্ছতার উর্বচারী।বর্ষ-প্রদক্ষিণের পথে এদিন বিশেষ তাৎপর্য মহিমা-ভাস্বর। এ দিনটি আমাদের কাছে মুক্তির বার্তা বয়ে আনে। মুক্তি প্রাত্যহিকতার জীর্ণ জীবন থেকে মুক্তি। প্রতিদিনের ক্ষুদ্র, আত্মসর্বস্ব জীবনের গণ্ডি থেকে। মুক্তি চিত্তের দীনতা ও হতাশা থেকে। প্রতিদিনের জীবনে আমরা ক্ষদ। নববর্ষের পুণ্য-প্রভাতে আমরা মহৎ । এ দিন আমাদের কাছে পরম আশ্বাসের, পরম প্রার্থনার ! এই পুণ্য দিনে আমরা লাভ করি। এক মহাজীবনের উদার সান্নিধ্য। বর্ষারম্ভের পুণ্য-মহুর্তে নবােদিত সূর্যের আলােকে ঝরণা ধারায় আমরা শুচিত হয়ে অনুভব। করি পরম প্রেমময়ের আনন্দ-স্পর্শ । আমাদের স্বার্থপরতা, ক্ষুদ্রতার নির্মোক ভেঙে আমরা সেদিন মিলনের উদার উৎসবপ্রাঙ্গণে এসে সম্মিলিত হই । আমাদের হৃদয় আজ কোনাে অসীমের রাজ্যে, কোনাে অনির্বচনীয় আনন্দের অভিমুখে ধেয়ে। চলেছে । নববর্ষের পুণ্য-প্রভাতে আমাদের নিজেদের মধ্যে সর্বজয়ী মানবশক্তি উপলব্ধি করার দিন । মানুষের জীবন থেকে চিরতরে হারিয়ে গেল সুখ-দুঃখে গড়া একটি বছর । কিন্তু তার জন্য শােক নয়- যা এলাে, যা অনাগত সম্ভাবনায় সমুজ্জ্বল, তাকে আবাহন করার দিন আজ।


বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপনের বৈশিষ্ট্য :

পয়লা বৈশাখ বাংলার জনসমষ্টি অতীতের সুখ-দুঃখ ভুলে গিয়ে নতুনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওঠে। জানে এ নতুন অনিশ্চিতের সুনিশ্চিত সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ। তাই মন সাড়া দেয়, চঞ্চল হয় । নতুনকে গ্রহণ করার প্রস্তুতি নেয়। আর সে দিন প্রাত্যহিক কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে ঘরবাড়ি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে। আটপৌরে জামা কাপড় ছেড়ে ধােপদুরস্ত পােশাক-পরিচ্ছদ পরে, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করে পানাহারে মেতে ওঠে। রমনার বটের শত তলায় জড়াে হয়ে গান গাই, হাততালি দিই । সবকিছু মিলে দেশটা যেন হয়ে ওঠে উৎসবে আনন্দে পরিপূর্ণ । এছাড়াও এদেশের স্থানীয় কতকগুলাে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্যের বৈশিষ্ট্যসমূহ ফুটে ওঠে । যেমন : মেঘের কাছে জল ভিক্ষা করা , বার্ষিক মেলা , পুণ্যাহ , হালখাতা ইত্যাদি।


নববর্ষ উদযাপনে গ্রামীণ জীবন ও নগরজীবন :

নববর্ষের উৎসব গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িত, ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ । নববর্ষে পল্লী অঞ্চলের কোথাও কোথাও বেশ বর্ণাঢ্য মেলা বসে। মেলার। বিচিত্র আনন্দ-অনুষ্ঠানে, কেনা-বেচার বাণিজ্যিক লেনদেন, মিলনের অমলিন খুশিতে, অবারিত আন্তর প্রীতির স্পর্শে নববর্ষে। বিশেষ দিনটি মুখর হয়ে ওঠে। এই পুণ্য দিনেই শুরু হয় ব্যবসায়ীদের হালখাতার শুব মহরৎ । প্রায় প্রতিভা বিক্রয়-প্রতিষ্ঠানেট। ক্রেতাদের মিষ্টিান্ন সহযােগে আপ্যায়ন করা হয়। সর্বত্রই এক মধুর প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ। এ ছাড়া দরিদ্র ভােজনে, নৃত্য-গীতে, সভা-সমিতিতে, আনন্দে-উৎসবে বছরের প্রথম দিনটি মহিযােজ্জ্বল হয়ে ওঠে। গৃহস্থরাও নানাবিধ অনুষ্ঠান-ব্রতে পুণ্য দিনটিতে। স্মরণীয় করায় মেতে ওঠে। পল্লীর কোথাও কোথাও রচিত হয় নববর্ষ উদযাপনের উৎসব-মঞ্চ। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নানা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।


বৈশাখী মেলা :

নববর্ষকে উৎসবমুখর করে তােলে বৈশাখী মেলা ! এটি মূলত সর্বজনীন লােকজ মেলা। এ মেলা অত্যন্ত আনন্দঘন হয়ে থাকে। স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য কারূপণ্য, লােকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সকলপ্রকার হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী এই মেলায় পাওয়া যায় । এছাড়া শিশু-কিশােরদের খেলা, মহিলাদের সাজ-সজ্জার সামগ্রী ইত্যাদি এবং বিভিন্ন লােকজ খাদ্যদ্রব্য যেমন : চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসা ইত্যাদি, বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি প্রভৃতির বৈচিত্র্যময় সমারােহ থাকে। মেলায় বিনােদনেরও ব্যবস্থা থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লােকগায়ক ও লােকনর্তকদের উপস্থিতি থাকে । তারা যাত্রা, পালাগান, কবিগান, জারিগান, গম্ভীরা গান, গাজীর গানসহ বিভিন্ন ধরনের লােকসঙ্গীত, বাউল-মারফতি-মুর্শিদি-বাটিয়ালি ইত্যাদি বিভিন্ন আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন । লাইলী-মজনু, ইউসুফ-জোলেখা, রাধা-কৃষ্ণ প্রভৃতি আখ্যানও উপস্থাপিত হয় । চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাটক, পুতুলনাচ, নাগরদোলায়, সার্কাস ইত্যাদি মেলার বিশেষ আকর্ষণ । এছাড়া শিশু-কিশােরদের আকর্ষণের জন্য থাকে বায়ােস্কোপ । শহরাঞ্চলে নগর সংস্কৃতির আমেজে এখনও বৈশাখী মেলা বসে এবং এই মেলা বাঙালিদের কাচে এক অনাবিল মিলন মেলায় পরিণত হয় । বৈশাখী মেলা বাঙালির আনন্দঘন লােকায়ত সংস্কৃতির ধারক ।


নগরজীবনে নববর্ষ উদ্ যাপন :

বর্তমানে নগরজীবনে নগর-সংস্কৃতির আদলে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপিত হয়। পয়লা বৈশাখের প্রভাতে উদীয়মান সূর্যকে স্বাগত জানানাের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নববর্ষের উৎসবে। এ সময় নতুন সূখণে প্রত্যক্ষ করতে উদ্যানের কোনো বৃহৎ বৃক্ষমূলে বা লেকের ধারে অতি প্রত্যুষে নগরবাসীরা সমবেত হয়ে নববর্ষকে স্বা" জানিয়ে শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এদিন সাধারণত সকল শ্রেণির এবং সকল বয়সের মানুষ ঐতিহ্যবাহী পােশাক পরিধান করে ! নববর্ষকে স্বাগত জানাতে তরুণীর লালপেড়ে সাদা শাড়ি, হাতে চুড়ি, খােপায় ফুল, গলাঃ মালা এবং কপালে টিপ পরে; আর ছেলেরা পরে পাজামা ও পাঞ্জাবি। কেউ কেউ ধুতি-পাঞ্জাবিও পরে । এদিন সকালবেলা পানতা ভাত খাওয়া একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। সঙ্গে থাকে ইলিশ মাছ ভাজা । এভাবে লােকজ বর্ষবরণ প্রথাগুলাের কোনো কোনােটির অনুসরণের মাধ্যমে গ্রামীণ ঐতিহ্য অনেকটা সংরক্ষিত হচ্ছে।


জাতীয় কর্মসূচি ও নববর্ষ পালন :

বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, ছায়ানট, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, নজরুল একাডেমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান এবং দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলাে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে।


বাংলা নববর্ষ ও উপজাতি সম্প্রদায় :

বাংলা নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলায় (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) উপজাতীয়দের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয়-সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’-আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হয়। এটি পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এ উৎসবকে চাকমারা ‘বিজু মারমারা সাংগ্রাই’ এবং ত্রিপুরারা ‘বৈসুক’ বলে আখ্যা দিলেও গােটা পার্বত্য এলাকায় তা 'বৈসাবি' নামে পরিচিত ।


নববর্ষের গুরুত্ব ও তাৎপর্য :

আমাদের জীবনেতিহাসের সার্বিক পটভূমিতে এ দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম । আমাদের জাতীয় চেতনা অর্থাৎ বাঙালি সত্তার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। বাঙালি সমাজ-সংস্কৃতির অস্থিমজ্জার সঙ্গে একাকার হয়ে আছে বাংলা নববর্ষের মাহাত্ম্য । রূপকথার জিয়ন কাঠির মতাে এ দিনটির মর্মস্পর্শে দূরীভূত হয় পুরােনাে দিনের সকল জরাজীর্ণতা। নতুনের ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে উঠে । বাঙালির ক্লান্ত-শ্রান্ত জীবন। প্রতিবছর এ দিনটি আমাদের সামনে। হাজির হয় নতুনের বার্তা- আশার আলাে নিয়ে । তাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছেই দিনটি হয়ে উঠে উৎসবমুখর ।। বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুজাতি-গােষ্ঠী অধ্যুষিত একটি শান্তির দেশ। এখানে প্রতিটি সমপ্রদায়ের রয়েছে নিজস্ব ধর্মীয় উৎসব । এগুলাের অধিকাংশই নির্দিষ্ট গােষ্ঠীর আনন্দ অনুষঙ্গ বলে স্বীকৃত, কিন্তু পহেলা বৈশাখই একমাত্র উৎসব যা কোনাে ধর্মের বা গােষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি গােটা জাতির তথা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অখণ্ড বাঙালি জাতির উৎসব। পহেলা বৈশাখের অনুষঙ্গে দেশের সকল মানুষ একই সময় অভিন্ন আনন্দ-অনুভূতিতে উদ্বেলিত হয়ে পড়ে। তারা নিজেদের মনে করে এক অখণ্ড সত্তা রূপে। ফলে জাতিগত সংহতি ও ঐক্য সুদৃঢ় হয়ে মানুষে মানুষে, ধর্মে ধর্মে, বর্ণে বর্ণে দূরত্ব কম আসে। নববর্ষ পরিণত হয় একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠানে।


উপসংহার :

নববর্ষ সমগ্র মানুষের কাছে নবজীবনের দ্বার উন্মােচিত করে দিক। নতুন বছর যেন মুষ্টিমেয় ধনীর ভােগবিলাসের। সঙ্কীর্ণ উল্লাসে পরিণত না হয়; দারিদ্র লাতি পীড়িত মানুষের নিষ্ফল বিলাপে যেন পৃথিবী বিষন্ন না হয়ে ওঠে; যুদ্ধদীর্ণ বিশ্বের পাশবশক্তির তাণ্ডব যেন শান্তির শুভশক্তির কাছে পরাভূত হয়। আসুন পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে আমরা আমাদের মধ্যকার সকল বিভেদ ও দ্বিধা দূর করতে সচেষ্ট হই । অমিরা জাগ্রত হই অখণ্ড জাতীয় চেতনায় । আমরা ঋদ্ধ হই আগামীর গর্বিত প্রেরণায়। নতুন বছর আমাদের সবার জীবনে সুখ-সম্ভার বয়ে আনুক এটাই হউক আমাদের প্রত্যাশা। আজ নববর্ষের এই শুভক্ষণে, আসুন, কবিকণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরা বলি,


যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ,/

প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবাে জঞ্জাল,

এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযােগ্য করে যাবাে আমি-

নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


বাংলা নববর্ষ রচনাটিতে  নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজন কি/না ?  সেটা আমাদের  কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Premium Blogger Templates