স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব. Helped school.
স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব
বই পড়া শ্রেষ্ঠ শখ। উৎকৃষ্ট বই মানুষকে প্রকৃত আনন্দ ও সুখ দান করে। বইয়ের মাধ্যমে আমরা সব কালের সব দেশের মহৎ মানুষের সংস্পর্শ। লাভ করি। অতীত ঐতিহ্য, নানা চিন্তার অনুশীলন ও বিচিত্র ভাবধারার সাথে আমরা পরিচিত হই।
বিচিত্র ধরনের বইয়ের মাধ্যমেই মানুষ। নিজেকে চেনে, নিজেকে জানে, বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করে। সেসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মানুষ ব্যক্তিজীবন তথা সমাজ ও জাতীয় জীবনকে উন্নত করে, সমৃদ্ধ করে। আমাদের মনের দিগন্ত উন্মােচিত ও প্রসারিত হয়, উদার ও মহৎ হয়। যাবতীয় অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার ঝেড়ে ফেলে আমরা বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রগতিশীল হতে পারি কেবল ভালাে বইয়ের সংস্পর্শে এসে।
বই পড়া গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২২
এ কারণে পড়ার জন্য ভালাে বই, আনন্দদায়ক বই, অধিক বই আমাদেরকে বেছে নিতে হবে। একসঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ের বই সংগ্রহ একার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। তাই আমাদের পাঠাগারে যেতে হবে। না থাকলে সমবেত প্রচেষ্টায় পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। তাতে যেমন সাহিত্য, সংস্কৃতি, দর্শন, বিজ্ঞানের বই থাকবে, তেমনি থাকবে ইতিহাস, ভূগােল, অর্থনীতি, রাজনীতি, নৃতত্ত্ব ও প্রত্নতত্ত্বের বই।মানুষের মনতুষ্টির জন্য প্রয়ােজন বই পাঠ করা । মনের দাবি মেটানাের অবিকল্প মাধ্যম একমাত্র বই পাঠ। এ দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাচে না। আর মানুষের আত্মা সজীব না রাখতে পারলে জাতির প্রাণ যথার্থ স্ফুর্তি লাভ করে না।
ফলে সে জাতি হয়ে ওঠে নির্জীব, নিষ্প্রাণ । আমাদের উচিত বাধ্যগত হয়ে বই পাঠ না করে আনন্দের উপাদান হিসেবে বই পাঠ করা। কারণ বই পাঠে জ্ঞানের গহিন রাজ্যে বিচরণ করা যায়। অর্জন করা যায় বিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, ধর্মনীতি, সমাজনীতি প্রভৃতি সম্বন্ধে অগাধ পাণ্ডিত্য।
রানার কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২২
খুলে যায় মনের ভুবন ও স্বপ্নের আকাশ। যত জ্ঞানী-গুণী তাদের পদচারণায় পৃথিবীকে ধন্য করেছেন তারা। সকলেই ছিলেন বই পাঠে নিমগ্ন । বই পাঠের আনন্দে তারা ছিলেন বিভাের। তাইতাে তাদের অবস্থান জ্ঞান ও গরিমায় চূড়ায়, মনুষ্যত্ব ও মানবিকতার। স্বর্ণশিখরে। আমাদেরও উচিত পাঠের মাঝে আনন্দ খুঁজে নেওয়া, বই পাঠের আনন্দ থেকে জ্ঞানের নির্যাস, সত্য ও সুন্দরের অমৃত আয়ত্ত করা ।
বিশেষ করে আমাদের দেশ, জাতি ও সত্তাকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বই অবশ্যই আমাদেরকে পড়তে হবে। বই পড়লে আমাদের মনে জাগ্রত হবে মানবিক চেতনা, দেশপ্রেম, মহৎ জীবন-ভাবনা, সত্য-সুন্দরের সাধনা, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি, সময়ানুশীলন ও অধ্যবসায়ের সুদৃঢ় মানসিকতা, যা সুন্দর জীবন গঠনে, সমাজ গঠনে ও দেশ গঠনে উজ্জীবিত করবে।
বই আমাদেরকে শােকে সান্ত্বনা, দুঃখে দুঃখজয়ের ব্রত ও পরাজয়ে বা ব্যর্থতায় সহিষ্ণুতার দীক্ষা দেয়। নির্মল আনন্দ লাভের জন্য বইয়ের বিকল্প নেই। তাই তাে ভিনসেন্ট স্টারেট বলেছেন— When we buy a book we buy pleasure.
Postar um comentário