বই পড়া গল্পের অনুচ্ছেদ. Helped school
বই পড়া আনন্দ অনুচ্ছেদ
বই জ্ঞানের ভাণ্ডার, মননশীলতার স্বপ্ন সিড়ি ও নিঃস্বার্থ বিশ্বস্ত বন্ধু। বই পাঠে জানা যায় বিপুল বিশ্ব, মানুষের সহস্র মনােভাবনা ও অনাবিল আনন্দ। পাঠের আনন্দ মানুষকে নিয়ে যায় জ্ঞানের রাজ্যে, বিচরণ করায় বিশ্বসাহিত্যের পাতায় পাতায়।
বই অতীত আর বর্তমানের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে। বই পড়ার মধ্যে দিয়ে আমরা যেমন অসংখ্য তথ্য-উপাত্ত, জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্বন্ধে অবগত হতে পারি, তেমনি বই পঠন-পাঠনের মধ্য দিয়ে একটি জাতি তার ভাগ্য পরিবর্তনের রসদ সংগ্রহ করতে পারে। আবার কিছু কিছু বই মানুষের অধঃপতনও ডেকে আনে। তবে বই পড়ার মূল লক্ষ্য হলাে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ।
মানুষের মনতুষ্টির জন্য প্রয়ােজন বই পাঠ করা । মনের দাবি মেটানাের অবিকল্প মাধ্যম একমাত্র বই পাঠ। এ দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাচে না। আর মানুষের আত্মা সজীব না রাখতে পারলে জাতির প্রাণ যথার্থ স্ফুর্তি লাভ করে না।
পল্লী জননী কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২২
ফলে সে জাতি হয়ে ওঠে নির্জীব, নিষ্প্রাণ । আমাদের উচিত বাধ্যগত হয়ে বই পাঠ না করে আনন্দের উপাদান হিসেবে বই পাঠ করা। কারণ বই পাঠে জ্ঞানের গহিন রাজ্যে বিচরণ করা যায়। অর্জন করা যায় বিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, ধর্মনীতি, সমাজনীতি প্রভৃতি সম্বন্ধে অগাধ পাণ্ডিত্য।
খুলে যায় মনের ভুবন ও স্বপ্নের আকাশ। যত জ্ঞানী-গুণী তাদের পদচারণায় পৃথিবীকে ধন্য করেছেন তারা। সকলেই ছিলেন বই পাঠে নিমগ্ন । বই পাঠের আনন্দে তারা ছিলেন বিভাের। তাইতাে তাদের অবস্থান জ্ঞান ও গরিমায় চূড়ায়, মনুষ্যত্ব ও মানবিকতার। স্বর্ণশিখরে। আমাদেরও উচিত পাঠের মাঝে আনন্দ খুঁজে নেওয়া, বই পাঠের আনন্দ থেকে জ্ঞানের নির্যাস, সত্য ও সুন্দরের অমৃত আয়ত্ত করা ।
Postar um comentário