কপোতাক্ষ নদ কবিতা - মাইকেল মধুসূদন দত্ত। Helped school.
কপোতাক্ষ নদ কবিতা ও তার পাঠ পরিচিতি
আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে কপোতাক্ষ নদ কবিতার প্রত্যেকটি বিষয় তুলে করব যাতে তোমাদের বুঝতে সুবিধা হয়। আমাদের ওয়েবসাইটে নবম - দশম শ্রেণীর সকল কবিতার দেওয়া আছে। তোমরা চাইলে home গিয়ে সার্চ করে দেখতে পারো।
আরও পড়ুন ঃ
বঙ্গবাণী কবিতার ব্যাখ্যা
কবি-পরিচিতি :
মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে জানুয়ারি যশাের জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ। করেন। স্কুলজীবনের শেষে তিনি কলকাতার হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। এই কলেজে অধ্যয়নকালে ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি তার তীব্র অনুরাগ জন্মে। ১৮৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন। তখন তাঁর নামের প্রথমে যােগ হয় মাইকেল’। পাশ্চাত্য জীবনযাপনের প্রতি প্রবল আগ্রহ এবং ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি তীব্র আবেগ তাঁকে ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় উদ্বুদ্ধ করে। পরবর্তীকালে জীবনের বিচিত্র কষ্টকর। অভিজ্ঞতায় তার এই ভুল ভেঙেছিল। বাংলা ভাষায় কাব্য রচনার মধ্য দিয়ে তাঁর কবিপ্রতিভার যথার্থ স্ফুর্তি ঘটে। তাঁর অমর কীর্তি মেঘনাদবধ কাব্য'। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে জুন কবি পরলােকগমন করেন।
কপোতাক্ষ নদ কবিতা ঃ-
সতত, হে নদ, তুমি পড় মাের মনে !
সতত তােমার কথা ভাবি এ বিরলে;
সতত (যেমতি লােক নিশার স্বপনে।
শশানে মায়া-মন্ত্র ধ্বনি) তব কলকলে
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে !
বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
দুগ্ধ-স্রোতােরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে।
আর কি হে হবে দেখা? – যত দিন যাবে,
প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে
বারি-রূপ কর তুমি; এ মিনতি, গাবে।
বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখা-রীতে
নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে
লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে।
Postar um comentário