ভাষা আন্দোলন অনুচ্ছেদ. Helped school.
ভাষা আন্দোলন অনুচ্ছেদ
আরও পড়ুন ঃ
বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনা
পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর এর শাসকবর্গ বাংলাদেশকে চিরস্থায়ী অধীনতা পাশে আবদ্ধ রাখার জন্য ইং "তরণে এক দুরভিসন্ধি করে। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জনতার সামনে দাড়িয়ে ঘােষণা দেন যে, Urdu and Urdu will be State b,stan (অর্থাৎ উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা')। বাংলার জনগণ ভাষা ও সংস্কৃতির উপর পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীরন এহেন অন্যায় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং আন্দোলনের সূচনা করে। কেননা পাকিস্তানের অধিকাংশ লােকের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। কিন্তু উর্দু ভাষাভাষী লােকেরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল বলে এ চক্রান্ত করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ তাদের এ অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। তাই বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য শুরু হল ব্যাপক গণআন্দোলন ও আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে। ঐ দিন ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে শহীদ হলেন-রফিক, বরকত, সালাম, জব্বারসহ বাংলা মায়ের অনেক কৃতিসন্তান। তাদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আমাদের ভাষার অধিকার। বাংলা ভাষা রয়েছে আমাদের সমগ্র সত্তা জুড়ে। পৃথিবীতে কোনাে ভাষা প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য জীবন দেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। আন্দোলন ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। এরই সিঁড়ি বেয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের আঁধারে এদেশের। নিরিহ মানুষের উপর নির্বিচারে আক্রমণ চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী । অতঃপর এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করি। অবশেষে এ ভাষা আন্দোলন আমাদের সার্বভৌমত্ব এনে দেয়। তাই | রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় চেতনার এক মূর্ত প্রতীক।
ভাষা আন্দোলন অনুচ্ছেদটিতে নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজন কি/না ? সেটা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
Postar um comentário